মহেশখালীতে হচ্ছে র‌্যাব, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের আলাদা ক্যাম্প

মাহবুব রোকন :


কক্সবাজারের মহেশখালীতে র‌্যাব, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের আলাদা বিশেষ ক্যাপ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তাছাড়া মাতারবাড়িতে হবে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এদিকে উপকূলীয় দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর আইনশৃঙ্খলা আগের থেকে বহু উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার-২ আসনের এমপি আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক। তাছাড়া শিগগিরই মহেশখালীদে দ্বিতীয় দফায় জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে বলেও জানা গেছে।

জানা গেছে -শিগগিরই র‌্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটালিয়ন- (র‌্যাব) এর ক্যাম্প স্থাপন হচ্ছে মহেশখালীতে। বিশেষভাবে জলদস্যু নির্মূলে এই ক্যাম্প স্থাপন করতে যাচ্ছে র‌্যাব। ক্যাম্প স্থাপনের স্থানের জন্য ইতোমধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই এর কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে বলেও জানাগেছে। অল্প সময়ের মধ্যে ক্যাম্পের কার্যক্রম শুরু করা হবে।

র‌্যাব- ১৫ (কক্সবাজার) এর উপ-অধিনায়ক মেজর রবিউল ইসলাম জানান -জলদস্যু প্রবণ মহেশখালীর জলদস্যুদের নির্মূল করতেই মূলতঃ র‌্যাবের হাই কমান্ড মহেশখালীতে র‌্যাবের একটি কোম্পানি ক্যাম্প স্থাপনের পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুধু জলদস্যু নয় অন্যান্য সন্ত্রাসীদের নির্মূলেও এই ক্যাম্প কাজ করবে। অন্যদিকে শুধু মহেশখালী নয়; আশেপাশের উপজেলা ও এলাকাগুলোতে কার্যক্রম চালানো হবে এই ক্যাম্প থেকে।

তিনি আরও বলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই এই ক্যাম্পটি স্থাপনের কাজ শুরু করা হবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে আনুষ্ঠানিক ভাবে তা গণমাধ্যমকে অবহিত করা হবে।
প্রাথমিক ভাবে সোনাদিয়ায় এ ক্যাম্প স্থাপন হতে পারে বলে জানাগেছে। তাছাড়া সোনাদিয়াতে র‌্যাবের ক্যাম্প ছাড়াও কোস্টগার্ড স্টেশন ও পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানাগেছে।

বেশ কিছুদিন আগে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছিলেন। উপকূলীয় এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। খুব শিগগিরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এ সব ক্যাম্প স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

এদিকে মহেশখালীর মাতারবাড়িতে একটি পূর্ণাঙ্গ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র হতে যাচ্ছে বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, গতবছরের ২০ অক্টোবর র‌্যাবের উদ্যোগে মহেশখালীতে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার ৪৩ জলদস্যু অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আত্মসমর্পন করে। এর পর থেকে উপকূলীয় এলাকায় জলদস্যুতা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম বহুলাংশেই কমে যায়। আগামী কিছু দিনের মধ্যেই মহেশখালীতে এ রকম আরও একটি আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান হচ্ছে বলে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে এখনই আনুষ্ঠানিক ভবে কিছু জানায়নি র‌্যাব।

এদিকে কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া)’র এমপি আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক দৈনিক কক্সবাজারকে জানান -আগের তুলনায় মহেশখালীর আইনশৃঙ্খলা বহু উন্নত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা, জনগণের সহযোগিতা ও জনসচেতনতা বাড়ার কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন -এলাকার মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে মহেশখালীতে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাম্প স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। তাছাড়া মাতারবাড়িতে একটি পূর্ণাঙ্গ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র হবে শিগগিরই। এ সব হলে মহেশখালীর মানুষের সার্বিক উন্নতি আরও গতিশীল হবে বলে জানান তিনি।